কলিযুগ। আমাদের দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম। এই কলিযুগ গ্রামের গা ঘেঁষে চলে গেছে কালাডুমুর নদী। আজ (রোববার- ২৮ জানুয়ারি) বিকেলে বন্ধু এস এম মিজান ও আমি ইলিয়টগঞ্জ বাজার থেকে অটোরিক্সা করে কালাডুমুর নদীর পাড় দিয়ে কলিযুগ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করি।
পড়ন্ত বিকেল, নদীর তীরবর্তী ফসলের মাঠ ও গ্রামের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে দুই বন্ধুর আলাপচারিতায় গোমতী বেঁড়িবাধের পথ ধরে পৌঁছে যাই শান্তসুনিবিড় গ্রাম কলিযুগে। উদ্দেশ্য "কলিযুগ'র ফুল কলি"। ওই গ্রামের সূর্য সন্তান। আমাদের গৌরব। বাংলাদেশ পুলিশ' বাহিনীর সিনিয়র এএসপি মো. বেলায়েত হোসেন সজল' ভাইয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হওয়া।
পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের আগে থেকেই তাঁর সাথে পরিচয়। সাদামাটা, গ্রাম পাগল সজল ভাই, ছাত্র জীবন থেকেই গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্রীড়া আয়োজন করতেন তিনি। সে সময়ে গণমাধ্যম কর্মী হয়ে সেখানে যেতাম সংবাদ কাভার করার জন্য।
কলিযুগ গ্রামে পৌছে সজল ভাইয়ের বাড়ীতে গিয়ে দেখা হয় আমাদের আরেক প্রিয়জনের সাথে। যিনি আমাদেরকে দেখে অফুরন্ত উচ্ছাসে খুশি হন, বুকে জড়িয়ে আদর করেন ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন মুন্সী (লোকমান ভাই) তিনিও ওই ইউনিয়নে সফল জনপ্রতিনিধি।
আমাকে ও বন্ধু মিজানকে অন্যরকম পছন্দও করেন লোকমান ভাই। বেশ কিছুক্ষণ গল্প-আড্ডায় আমরা মেথে উঠি। স্মৃতিচারণ, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এবং ইউনিয়নের উন্নয়ন অগ্রগতিসহ সামাজিক কর্মকান্ড উঠে আসে আমাদের আলোচনায়। হাসি আনন্দে মেথে উঠি খানিকটা সময়।
সেই গল্পের মাঝেই সজল ভাইয়ের বাসায় নানানরকম ফলফলাদি, মিষ্টি ও পায়েস খাই আমরা। এবার বাড়ী থেকে বিদায় নেয়ার পালা। এই আনন্দঘন মূহুর্তকে আমরা নিজেদের ক্যামরাবন্দি করি। তারপর সজল ভাইয়ের সাথে আবারও সাক্ষাতের প্রত্যাশা রেখে বিদায় নেই আমরা কলিযুগ থেকে।
লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনে ব্যস্তসময় থাকলেও গ্রামের প্রতি রয়েছে তাঁর অগাধ টান। সময় পেলেই চলে আসেন গ্রামে। বর্তমানে তিনি র্যাব হেডকোয়ার্টাস ইন্টিলিজেন্স ব্রাঞ্চে কর্মরত আছেন। গ্রামে ভালো কিছু করার পরিকল্পনা আছে তাঁর। উচ্চ পদমর্যাদায় চাকুরী করেন। অহংকার করে গ্রামে না আসলেও পারতেন।
কিন্তু এসবের লেশপেশ বিন্দুমাত্র নেই তাঁর মাঝে। আছেন সেই আগের মতো। অহিংশু সাদামাটা গ্রাম পাগল সজল ভাইদের জন্য রইলো ভালোবাসা ও দোয়া। জীবনকর্মে সফলতায় পৌঁছলেও হিংসা বা গাম্ভীর্যরা যাদের নিকট পৌঁছেনা। তাঁরাই সত্যিকারের দেশের সম্পদ গ্রামের সম্পদ। ভালো থাকুক গ্রাম পাগল সকল ভাই-বন্ধুরা।
পিকে/এসপি
"কলিযুগ গ্রামে প্রিয়জনদের সাথে গল্প-আড্ডায় এক বিকেল" | প্রধান খবর
- আপলোড সময় : ২৮-০১-২০২৪ ১১:৪৫:০৬ অপরাহ্ন